আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে র্র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত – দৈনিক নতুন কলম

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে র্র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: September 8, 2025

মোঃ মিনারুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি

​’সাক্ষরতা অর্জন করি, ডিজিটাল বিশ্ব গড়ি’ – এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, চুয়াডাঙ্গা এবং জেলা প্রশাসন, চুয়াডাঙ্গার যৌথ উদ্যোগে এই সভাটি আয়োজিত হয়।
​সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা এবং জেলা শিক্ষা অফিসার মোছাঃ দিল আরা চৌধুরী ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল।

​সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোঃ সোহাগ হোসেন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাক্ষরতা কেবল অক্ষর জ্ঞান নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো নিরক্ষরতা দূরীকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

​প্রধান অতিথি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হলে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন করা অপরিহার্য।

বর্তমান সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে সাক্ষরতার কোনো বিকল্প নেই।

শিক্ষিত জনগোষ্ঠীই পারে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে।
​পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, নিরক্ষরতা অনেক সময় অপরাধ প্রবণতা বাড়ায়।

সাক্ষরতা মানুষকে সচেতন করে এবং সামাজিক বিভিন্ন অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সাক্ষরতা প্রচারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

​আলোচনা সভা শেষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‍্যালিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

​অনুষ্ঠানে বক্তারা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য বিভিন্ন সুপারিশ পেশ করেন।

তারা বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে দেশের কোনো মানুষ নিরক্ষর না থাকে।