
ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি:
ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরুপকাঠী এ ৩টি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-২ আসনটি গঠিত। এ আসনে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা পিরোজপুর জেলা বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু বিএনপি (ধানের শীষ) থেকে মনোনয়ন চান। স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা মনে করেন গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু’র রাজনৈতিক ক্যারিয়ার খুবই শক্তিশালী। কেননা তিনি ৯০ এর দশকে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিনে সর্বশেষ বিএনপি’র দুর্দিনে পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব নির্বাচিত হন। দীর্ঘ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি মধ্যথেকে সবচেয়ে শক্তিশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু। তাদের পরিবারটি জিয়া পরিবারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত। তারই আপন বড়ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী নুরুজ্জামান বাবুল প্রায় ৩ যুগ পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়ে পিরোজপুর-১ আসন থেকে একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
দলীয় নেতা কর্মীরা আরও জানান, গাজী ওয়াহিদুজ্জমান লাভলু আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে একাধিক বার জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। তৃনমূলের নেতা কর্মীরা মনে করেন নির্বাচনী এলাকা শুধু পিরোজপুর-২ নয় পিরোজপুর জেলার প্রতিটি এলাকায় তার পরিচিতি রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আমির খসরু মাহমুদ বলেন, গাজী ওয়াহিদুজ্জমান লাভলু একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোক এবং এপরিবারটি জিয়া পরিবারের অন্ত্যন্ত বিশ্বস্ত। ভাণ্ডারিয়া পৌর বিএনপি’র আহবায়ক আ. মান্নান বলেন, পিরোজপুর-২ আসনে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক অন্তত পক্ষে তিনি যেন বিএনপি পরিবারের লোক হন। বিএনপি’ সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হাসান বলেন, এ আসনে গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ের পতাকা ছিনিয়ে আনতে পারবেন।
উল্লেখ্য পিরোজপুর-২ আসনে ধারাবাহিক ভাবে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি জেপি চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মাঝে একবার বিএনপি থেকে আলহাজ নূরুল ইসলাম মঞ্জুর এবং পরে আওয়ামীলীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলম এবং সর্বশেষ ২০২৪ সনে পতিত সরকারের বিতর্কীত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ নির্বাচিত হন।