

নিজস্ব সংবাদদতা
২নং পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: শাহীন হাওলাদারকে অপহরণের চেষ্টা ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ জাকারিয়া মুন্সী গ্যাংয়ের শাস্তির দাবীতে
প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (০৫ নভেম্বর) পত্তাশী ইউনিয়ন বাজারে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘটনাসূত্রে যানা যায়,পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার, পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদের কাজ শেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ীতে খুলনা যাবার পথে পিরোজপুর পুরাতনস্ট্যান্ড বড় পোলের উপর পৌঁছালে ০৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:৩০টায় জেলার ইন্দুরকানি থানাধীন পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের মৃত হক মুন্সির ছেলে মোঃ জাকারিয়া মুন্সীর নেতৃত্বে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের গাড়ীর সামনে আড়াআড়ি মোটরসাইকেল দাড় করিয়ে পথ রোধ করে। এসময় সেখানে আরো একটি মটরসাইকেল আসে। এসময় জাকারিয়া মুন্সিসহ তার মটর সাইকেলে আরো আরো দু’জন সন্ত্রাসী গাড়ীর দরজা খুলে তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে জোরপূর্বক ফ্লিমি স্টাইলে তাদের মটর সাইকেলে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের কাছে থাকা তার ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত দু’টি আইফোন মোবাইল নিয়ে যায়। ফলে সে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। মটর সাইকেলে উঠানোর সময় ধ্বস্তাধস্তির ও চিৎকার, চেঁচামেচির একপর্যায়ে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। তাদের মধ্যে কেউ ৯৯৯ এ ফোন করলে সদর থানার টহল টিম তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর থানায় নিয়ে আসে। তার কিছুক্ষণ পর সেখানে পিরোজপুর ১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মো: জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারী মো: আব্দুর রাজ্জাকসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ আসেন এবং তার ১ ঘন্টা পর সদর থানায় পিরোজপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী,আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়্যারম্যান শামীম সাঈদী উপস্থিত হন। চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে অপহরন চেষ্টার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পত্তাশী ইউনিয়ন ও বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক মোটরসাইকেল যোগে ৩০০শতাধিক লোকজন পিরোজপুর সদর থানায় জড়ো হয়। এসময় পিরোজপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নাসীর উদ্দিন,সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি জিয়াসহ বিভিন্ন প্রিন্টিং, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত হন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ,পিরোজপুর ২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী শামীম, সাঈদী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মো: জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারী শেখ আব্দুর রাজ্জাক, জামায়াত নেতা গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতির উপস্থিতিতে জাকারিয়া মুন্সীকে চুড়ান্তভাবে সতর্ক করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। আলোচনা কালে চেয়ারম্যান মো: শাহীন হাওলাদার জানান, জাকারিয়া মুন্সী বিভিন্ন সময় তাঁকে ভয়ভীতি দেখায় ও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গতবছর রমজান মাসে মেহমান হিসেবে মাসুদ সাঈদীর আমন্ত্রনে ঢাকার শাজাহানপুরে অনুষ্ঠিত ইন্দুরকানী নাগরিক ফোরামের অনুষ্ঠিত ইফতার প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি শামীম সাঈদীর সাথে মেহমান হিসেবে ইফতার প্রোগ্রামে যাবার সময় জাকারিয়া মুন্সী তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করলে শামীম সাঈদী বাঁধা দিয়ে তাকে রক্ষা করে। শামীম সাঈদী জানান ইফতার প্রোগ্রামের কথা ভেবে তখন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। তবে জামায়াতের জেলা আমীরসহ জেলা নেতৃবৃন্দ জানানো হয়েছে। মাসুদ সাঈদী বলেন মো: শাহীন হাওলাদারকে আমি সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছি। উপস্থিত সকলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান এই জাকারিয়া মুন্সী তার নিজ ফেসবুকে এবং বিভিন্নভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা,জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ( সাবেক মন্ত্রী) সাথে হোটাসএ্যাপের কথোপকথনে ছবি, ফ্যাসিস্ট মহারাজ, মিরাজের সাথে ঘনিষ্ঠ ছবি, জিয়ানগর উপজেলার নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাড. মতিউর রহমানের সাথে, ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া মানিক, হিরন, সাবেক পলাতক এমপি আউয়াল, সাবেক মেয়র মালেকের সাথে ছবি, বালিপাড়ার পলাতক মেম্বার সন্ত্রাসী মনির ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাসির সেপাইর সাথে ছবি দিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ আদায় করেছে। বর্তমানে মাসুদ সাঈদীসহ জামায়াতের বিভিন্ন নেতার সাথে ছবি তুলে তাদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি, ও পিরোজপুরের অফিস পাড়ায় তাদের নাম ব্যবহার করে তদবির বানিজ্য, টেন্ডারবানিজ্য করে।
চেয়ারম্যান মো: শাহীন হাওলাদারের কাছে চাঁদাবাজি এবং তাকে অপহরণ চেষ্টার প্রতিবাদে শাস্তিদাবী করে পত্তাশী ইউনিয়ন বাজারে পাঁচ শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন – পত্তাশী বাজার কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন শেখ (মেম্বার), সহ-সভাপতি ডা. মো: ইউনুস আলী(মেম্বার), আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন (মেম্বার), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর, যুবদলের ইউনিয়ন সভাপতি মহারাজ শেখ, শ্রমিকদল সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ রফিক আহমেদ, মেম্বার হেমায়েতুল ইসলাম সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা জাকারিয়া মুন্সীকে গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবী করে বলেন, এই জাকারিয়া মুন্সীর প্রকৃত বাড়ী-ঘর কোথায় আমরা জানি না। কেউ তার নামও শুনিনি। ৫ আগষ্টের পর জিয়ানগর, পিরোজপুর সদরে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি করছে। কে, বা কারা তাকে শেল্টার দিচ্ছে? আমরা শান্তি চাই। আর কোন ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ চাই না। যে বা যারা তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে জনগন তাদেরকে প্রত্যাখান করবে।