পিরোজপুর ফায়ার স্টেশন এর ফায়ার ফাইটার কামালের নেশাই যেন মানুষের পাশে দাঁড়ানো – দৈনিক নতুন কলম

পিরোজপুর ফায়ার স্টেশন এর ফায়ার ফাইটার কামালের নেশাই যেন মানুষের পাশে দাঁড়ানো

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: September 6, 2025

পিরোজপুর প্রতিনিধি :

পিরোজপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের নেশাই যেন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করা। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় তার ডিপার্টমেন্টের প্রধানদের দিকনির্দেশনায় নিজের জীবনকে বাজি রেখে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েন সহযোগিতার জন্য।বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনা অগ্নিকাণ্ড সহ এটি কোন ধরনের দুর্ঘটনায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেন দায়িত্ব পালন করার।কামাল হোসেন সিকদার ইতিমধ্যেই বড় বড় দুর্ঘটনায় তিনি নিজের জীবনবাদী রেখে ফায়ার সার্ভিসে সিভিল ডিফেন্স এর মুখ উজ্জ্বল করেছেন এবং জায়গা করে নিয়েছেন মানুষের মনে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায় গত ০২ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর সদর উপজেলার ৫ নং টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামের তালুকদার বাড়ি নামক স্থানে মোঃ ফারুক সরদারের ছেলে মোঃ আরমান আলী সরদার (১৫) একটি বড় বটগাছ এর উপরে ওঠে অজ্ঞান হয়ে যায়। স্থানীয় জনগণ উদ্ধার করতে না পেরে ০১৬১১৫০১০৭০ নম্বর থেকে পিরোজপুর সদর ফায়ার স্টেশনে উক্ত দূর্ঘটনার সংবাদ দেন। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পিরোজপুর ফায়ার স্টেশন এর ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর যুগল বিশ্বাস এর নেতৃত্বে পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম নিয়ে দূর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়,ফায়ার ফাইটার মোঃ কামাল হোসেন অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা রেখে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোঃ আরমান আলী সরদার কে জীবিত এবং অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এছাড়াও গত বছরে পিরোজপুর-নাজিরপুর মহাসড়কের কদমতলা নূরানী গেট নামক স্থানে রাত আনুমানিক ২ঃ১৫ মিনিটের সময় একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনার শিকার হয়,উক্ত দুর্ঘটনায় একই পরিবারের আটজন নিহত হয়।খবর পেয়ে পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সবাইকে উদ্ধার করেন, সেখানেও তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।এরকমের বহু ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি বিগত দিনে।

ফায়ার ফাইটার কামাল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি চেষ্টা করি আমার উপরে অর্পিত দায়িত্ব সব সময় সঠিকভাবে পালন করার।এই জীবন আমার না আমার জীবন আল্লাহ দান করেছে সেই কথা মাথায় রেখে আমি সব সময় জীবনে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ি।আমি আমার চাকরি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এভাবে কাজ করে যেতে চাই।আমি বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা,অগ্নি দুর্ঘটনায় কাজ করতে গিয়ে নিজে আহত হয়েছি তারপরও আমি আমার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি।আমি সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি।