নিজস্ব প্রতিবেদক(রৌমারী, কম):—
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার ছেলেকে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম ঢ়তে স্মার্ট ফোন দিয়ে অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন রৌমারী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক আবুল হাশেম। ও তার ছেলে তাহমীদ আরমান জীম তাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধোরের স্বীকার হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই প্রভাষক।
এব্যাপারে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রভাষক আবুল হাশেম।অভিযোগে বলা হয়েছে “বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ আবুল হাশেম (৫০), পিতা-মৃত সিরাজুল হক, সাং-মির্জাপাড়া, থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। মোঃ আব্দুল আজিজ (৪৮), পিতা-মৃত গোলাম হোসেন, সাং-জঞ্জিরকান্দা, থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, ১নং বিবাদীর সহিত কাকড়া গাড়ী চলাচল করাকে কেন্দ্র করিয়া দীর্ঘদিন মনোমালিন্য চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিষয় নিয়ে স্থানী ভাবে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করিলেও বিবাদী খারাপ প্রকৃতি লোক হওয়া তা সমাধান করা সম্ভব হয় নাই। উক্ত বিবাদী আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের ক্ষতি করার সুযোগ খুজিতে থাকে। ইং-১৪/০৪/২০২৫ তারিখ সন্ধা অনুমান ০৬.৫০ ঘটিকার সময় আমি আমার ছেলে মোঃ তাহমীদ আরমান জীম (১৮) তার বই ক্রয় করার জন্য রৌমারী বাজারে আসার পথে রৌমারী থানাধীন ৪নং রৌমারী ইউনিয়নের মির্জাপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোঃ ইউসুফ আলীর ৫ তলা বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মদ্যপ অবস্থায় অশালীন হিন্দি নাজ গানের নৃত্য চলিতেছে। আমি উক্ত স্থানের পূর্ব পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর মোটর সাইকেলের উপর বসে থাকা অস্থায় ১ মিনিটের ভিডিও ধারণ করিতেছিলাম। ঐ সময় ১নং বিবাদী আমার ভিডিও করা দেখিতে পাইয়া মেলার মাইকে ঘোষনা দেয় যে, শ্যালাকে ধর। এই কথা বলার সাথে সাথে ১নং বিবাদী সহ আরও ৪০/৫০ জন অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন আমাকে মোটর সাইকেলে বসে থাকা অবস্থায় রোডের মধ্যে ঘিরিয়া ধরিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিলঘুষি মারিয়া মোটর সাইকেল সহ পাকা রাস্তার উপর ফেলিয়া দেয়। আমি জীবন রক্ষার জন্য রোডের দক্ষিন দিকে দৌড়াইতে থাকিলে সে অবস্থায়ও আমাকে কিলঘুষি লাথি মারিতে থাকে এবং ঐ অবস্থায় প্রায় ২০০ গজ যাইয়া আমি রাস্তার উপর পড়িয়া যায় এবং সেখানেও বিবাদীগন কিলঘুষি মারিতে থাকিলে আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার ছেলে মোঃ তাহমীদ আরমান জীম (১৮) আমার উপর শুয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাহারা আমাকে ও আমার ছেলেকেও কিলঘুষি ও লাথি মারিতে থাকে। আমার সাথে থাকা মোটর সাইকেলটি জোর পূর্বক কেটে নেয় এবং পাঞ্জির পকেটে থাকা অনুমান ৬,০০০/- টাকা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। আমাদের ডাকচিৎকার শুনিয়া সাক্ষী ১। মোঃ আজাদুল ইসলাম (৪০), পিতা-মৃত নুরুল হক, ২। মোঃ ফজলুল হক (৫২), পিতা-মৃত গমির উদ্দিন কবিরাজ, ৩। মোঃ সিদ্দিক আলী (৪২), পিতা-মৃত মনছের আলী, সর্ব সাং-মির্জাপাড়া, ৪। মোঃ ইমরান হোসেন (৩০), পিতা-মোঃ আঃ রউফ, সাং-জন্তিরকান্দা, সর্ব থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম সহ আরও অনেক লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে ও আমার ছেলেকে রক্ষা করে। সাক্ষীগনের সহায়তায় আমি ও আমার ছেলে অসুস্থ সহায়তায় রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হইয়া প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করিয়া সামান্য সুস্থ্য হই। উক্ত বিষয় নিয়া স্থানীয় গ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের অবগত করিলে তাহারা আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের পরামর্শ প্রদান করেন। আমার নিকট আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
অতএব, আমার উপরোক্ত ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে আপনার মর্জি হয়।”
তিনি আরো বলেন আমি শুনেছি জন্তির কান্দা মেলায় জুয়া খেলা হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।