1. admin@notunkalom.com : 7mbot :
  2. mfaruqi805@gmail.com : দৈনিক নতুন কলম : দৈনিক নতুন কলম
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
শাড়ি চুরি আনসার ক্যাম্পে: কৃতজ্ঞ শিক্ষার্থীদের বিশেষ উপহার! সোহাগ হত্যাকাণ্ড ও দেশজুড়ে সহিংসতার প্রতিবাদে রৌমারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চাঁদপুরে হামলার শিকার মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমাম নুরুল আমিন মাদানী ইন্তেকাল করেছেন পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে লাশের ওপর লাফানোর বিভৎসতা নীরব শক্তি—বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের পুনরাবির্ভাব চর রাজিবপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রৌমারীতে মাদক প্রতিরোধ কমিটি গঠিত: সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রংপুরে ৩৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত রৌমারীতে রিকশা-ভ্যান ও অটোরিকশা চালক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন উজান ঝগড়ার চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক আবুল কাশেমকে বিদায়ী সংবর্ধনা

স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে কয়রায় স্ত্রীর আকুল মিনতি: দীর্ঘ অপেক্ষার পরর অধরাই রয়ে গেলো ন্যায় বিচার

দৈনিক নতুন কলম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৭ দেখা হয়েছে

উপজেলা প্রতিনিধি (কয়রা, কুমিল্লা):—

১২ বছর পেড়িয়ে গেলেও স্বামী জাহিদুল ইসলামের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার পাননি তার স্ত্রী ছবিরন নেছা। অবশেষে বিচারের দাবিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। নিহত জাহিদুল ইসলাম বাগালী ইউনিয়নের মৃত জালাল গাজীর পুত্র ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছবিরন নেছা বলেন, তার স্বামী জাহিদুল একজন নিরীহ দিনমজুর ছিলেন। ২০১৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই শান্তিপূর্ণ মিছিলটি জালালের মোড়ে পৌঁছালে তৎকালীন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব আলী সানার নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। ছবিরন নেছা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা এলোপাথাড়ি গুলি ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। তার স্বামী জাহিদুল ইসলামের শরীরে একাধিক গুলি লাগে এবং তিনি মারাত্মকভাবে ঝলসে যান। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি, স্থানীয়দের উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও হামলাকারীরা পুনরায় আক্রমণ করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শেষ পর্যন্ত তার স্বামীর মৃত্যু হয়। লিখিত বক্তব্যে ছবিরন আরও বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তারা। কিন্তু তৎকালীন সরকারের ভয়ে কেউই তাদের সাহায্য করতে সাহস পাননি। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রশাসনের কাছে গেলেও আওয়ামী লীগের ভয়ে তার পিতৃকুল ও শ্বশুরকুলের লোকজন ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হন। বর্তমান সরকারের কাছে তিনি তার স্বামীর হত্যার ন্যায়বিচার চেয়েছেন এবং স্বৈরাচারী হামলাকারী ও তাদের দোসরদের সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছবিরন নেছা ছাড়াও তার বৃদ্ধা মাতা মজিদা খাতুন, কন্যা এবং ভাই ও বোন উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও বিচার না পাওয়ায় তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট ছিল।

অনুগ্রহ করে খবরটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
 © দৈনিক নতুন কলম স্বত্বাধিকারী সংরক্ষিত।
Theme Customized BY LatestNews