নিজস্ব প্রতিবেদক(টাংগাইল, শখীপুর):- টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ের মাত্র দুই দিন পর রিয়া আক্তার (১৯) নাম্নী এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হইয়াছে। শনিবার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করিয়াছে পুলিশ।এর পূর্বে শুক্রবার উপজেলার কালীদাস ঠকানিয়াপাড়া অঞ্চল হইতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামজিদ মোমেন তনয় বিষয়টি নিশ্চিত করিয়া বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ইহা আত্মহত্যাই মনে হইতেছে। তথাপি ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরিত হইয়াছে। প্রতিবেদন প্রাপ্ত হইলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে।” নিহত রিয়া সৌদিপ্রবাসী নীরব মিয়ার সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস পূর্বে সখীপুর উপজেলার কালীদাস ঠকানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী নীরব মিয়া (২৭) এবং রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার আমিরুল শাহর কন্যা রিয়া আক্তারের মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। নীরব সৌদি আরবে অবস্থানকালে রিয়া তাঁহার বাড়িতে আগমন-প্রস্থান শুরু করেন। ১৬ এপ্রিল নীরব সৌদি আরব হইতে দেশে ফিরিয়া সরাসরি প্রেমিকা রিয়ার বাড়িতে উঠেন।২৩ এপ্রিল বুধবার পারিবারিকভাবে তাঁহাদের বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং তাঁহারা সখীপুরে ফিরিয়া আসেন। শুক্রবার বিকালে রিয়া তাঁহার পিতাকে স্বামীর বাড়ি হইতে বিদায় দিয়া নিজ কক্ষে অবস্থান করিতেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দ্বার বন্ধ দেখিয়া পরিবারের সদস্যগণ তাঁহাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পাইয়া বেড়া কাটিয়া ঘরে প্রবেশ করিলে নববধূর ঝুলন্ত লাশ প্রাপ্ত হয়।খবর পাইয়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করিয়া ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। রিয়ার মৃত্যুতে তাঁহার স্বামী নীরব মিয়া বাকরুদ্ধ হইয়া পড়িয়াছেন।রিয়ার স্বামীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রিয়ার পিতা-মাতা পৃথকভাবে বসবাস করেন। তাঁহাদের বিবাহে পিতা সম্মত থাকিলেও মাতার সম্মতি ছিল না। মাতার সঙ্গে অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করিয়াছেন বলিয়া ধারণা করা হইতেছে।