নিজস্ব প্রতিবেদক (ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ):- নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিনা অপরাধে ১৩ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে আফিফ পাঠান রকি নামের এক যুবককে। ভুক্তভোগী এবং মামলার বাদীর অভিযোগ, পুলিশ সদস্যের গাফিলতিতে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩ এপ্রিল রাতে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার বোয়ালিয়া খাল থেকে আফিফ পাঠান রকিকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা থানার এসআই বাশার। ঈদের ছুটির কারণে তাকে দুই দিন থানার লকাপে রাখা হয় এবং পরে আদালতে চালান করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ৮ মার্চ। মাসদাইর এলাকায় নিজ সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণের সময় মেহেনাজ পারভিন ও তার স্বামী মুনয়ার মুরসালীন চাঁদাবাজদের হামলার শিকার হন। স্থানীয় নজরুল এবং তার সহযোগীরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং তাদের নির্মাণকাজে বাধা দেয়। পরে মেহেনাজ পারভিন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ভুলক্রমে আফিফ পাঠান রকির নাম চার নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
রকিকে গ্রেপ্তারের পর এসআই বাশার বাদী মেহেনাজ পারভিনকে ফোন করে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান। তখন মেহেনাজ স্পষ্ট করে বলেন, রকি তাদের ওপর হামলায় জড়িত নন এবং তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। তবে এসআই বাশার ওই অনুরোধ উপেক্ষা করে রকিকে আদালতে প্রেরণ করেন। ফলে রকিকে বিনা অপরাধে ১৩ দিন কারাগারে থাকতে হয়।
১৭ এপ্রিল রকি জামিনে মুক্তি পান। জামিনের পর রকি বলেন, “বিনা দোষে আমার জীবনের ১৩ দিন চলে গেছে। এখন আমি সমাজের কাছে অপরাধী মনে হচ্ছি। আমি জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করছি।”
এদিকে মামলার বাদী মেহেনাজ পারভিন জানান, তিনি একাধিকবার এসআই বাশারকে রকি নির্দোষ বলে জানিয়েছেন। এমনকি রকির পক্ষে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু এসআই বাশার তাতেও বাধা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই বাশার প্রতিবেদককে জানান, তিনি ফোনে এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না।
ভুক্তভোগী রকি এবং তার পরিবার এখন বিচার ও সম্মান পুনরুদ্ধারের অপেক্ষায় আছেন।