দৈনিক নতুন কলম ডেস্কঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশে অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা চালায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ১০৬৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের নোম্যান্সল্যান্ডে ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই সময় বিএসএফ ১৪ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছেন। বিজিবি বিষয়টি টের পেয়ে তৎপর হয় এবং পুশইন রুখে দিতে কড়াকড়ি অবস্থান নেয়।
ভিডিও দেখতে
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সকাল ৬টার দিকে উত্তেজনার একপর্যায়ে বিএসএফ চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। তবে বিজিবি পক্ষ থেকে গুলির ঘটনাটি অস্বীকার করা হয়েছে।
পুশইনের শিকার ব্যক্তিরা এখনো সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান করছেন। তারা ভারতের মেঘালয় বা আসামের নয়, বরং বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার বাসিন্দা হতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এখনো তাদের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
জামালপুর ব্যাটালিয়ন-৩৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট) শামসুল হক জানান, “বিএসএফ অবৈধভাবে কয়েকজনকে বাংলাদেশে পুশইন করতে চেয়েছিল, আমাদের সদস্যরা তা প্রতিহত করেছে। তারা এখন দুই দেশের শূন্যরেখায় রয়েছে। তাদের জাতীয়তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিএসএফ এখনো কোনো সাড়া দেয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ৯টা) সীমান্তজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ফারুকী
©️দৈনিক নতুন কলম দ্বারা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত