রৌমারী ও চর রাজিবপুরে বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী – দৈনিক নতুন কলম

রৌমারী ও চর রাজিবপুরে বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ১১, ২০২৫

দৈনিক নতুন কলম ডেস্ক কুড়িগ্রামঃ

কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলায় দীর্ঘ সময় ধরে চলমান বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। যেটুকু সময় বিদ্যুৎ আসে, তাও লো-ভোল্টেজে কাজের উপযোগী নয়।

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ ফ্যান, এসি তো দূরের কথা, ফ্রিজও চালাতে পারছেন না। ফলে খাবার পচে যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ছে, মুরগির খামারে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।

চর রাজিবপুরের কাচারিপাড়া এলাকার খামার ব্যবসায়ী শাহজাহান বাবু জানান,

> “বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। খামার চালাতে পারছি না। অথচ মাস শেষ হলেই বিল ঠিকই দিতে হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের নিয়ে মশকরা করছে। এই অবস্থার দ্রুত সমাধান চাই।”

 

সাংবাদিকরাও সমস্যায় পড়েছেন। কম্পিউটারে কাজ করতে না পারায় সংবাদ পাঠানো বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে নানা তথ্যসংগ্রহ করেও পাঠানো যাচ্ছে না, পাঠকেরাও বঞ্চিত হচ্ছেন সময়মতো খবর পাওয়া থেকে।

রৌমারী জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মাহবুব আলম বলেন,

> “চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় জরুরি যন্ত্রপাতি চালানো যাচ্ছে না। গরমে রোগী যেমন বাড়ছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।”

 

এলাকাবাসী রাজু আহমেদ, মামুন মোল্লা, সুখ বাদশা, আলতাফ হোসেন হিটলার, আইয়ুব হোসেন, আবু বক্কর, মাহাতাব হোসেন ও শামীম আহম্মেদ বলেন,

> “২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে মানুষ কিভাবে চলবে? বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের দুর্দশা দেখেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে মানুষ বিকল্প পথ খুঁজবে।”

 

এই বিষয়ে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রৌমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন,

> “এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদা ২২ মেগাওয়াট হলেও আমরা পাচ্ছি মাত্র ১২-১৪ মেগাওয়াট। ফলে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত এ অবস্থার উন্নতি হবে।”

 

স্থানীয়দের প্রশ্ন, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কেন রৌমারী ও চর রাজিবপুরে বছরের পর বছর বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছেই? তারা অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করছেন।

📢 এমতাবস্থায় এলাকাবাসী সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছেন।