দৈনিক নতুন কলম ডেস্ক:
সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় এক তরুণীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত শ্বশুর মাসুদ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে সাভার মডেল থানার পুলিশ তেঁতুলঝোড়া র একটি দোতলা ভবনের কক্ষ থেকে ২০ বছর বয়সী লতা বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে লতার বিয়ে হয় সেলিম নামে এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পর তারা সোলেমান মিয়ার বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। একই ভবনে লতার স্বামী ও শ্বশুর-মা শ্বাশুড়িরাও ভাড়া থাকতেন।
বিয়ের পর থেকেই লতার ওপর কয়েক লাখ টাকা যৌতুকের চাপ সৃষ্টি করছিলেন স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া। পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে যৌতুক না পেয়ে শ্বশুর মাসুদ মিয়া লতাকে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আত্মরক্ষায় লতা আঘাত করার চেষ্টা করলেও মৃত্যুর মুখ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি।
দুপুরে ঘরের ভিতরে লতার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে মাসুদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বাবা আব্দুস সালাম দাবি করেন, চারজন মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে লতার স্বামী সেলিম পলাতক রয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সবুজ জানান, “লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। এছাড়া, হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ফারুকী
©️দৈনিক নতুন কলম দ্বারা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত