দৈনিক নতুন কলম ডেস্ক কুড়িগ্রামঃ
প্রেমকে কেন্দ্র করে বন্ধুকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন দুই যুবক। মোটরসাইকেলের সিটের নিচে ইয়াবা লুকিয়ে ‘সোর্সের’ মাধ্যমে পুলিশে খবর দেন জুয়েল হক (২৮) ও মনির হোসেন (২৭)। কিন্তু পুলিশের দক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে পুরো ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অনন্তপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জুয়েল হক এবং নাগেশ্বরী উপজেলার সাতকুড়ারপাড় এলাকার আছকের আলীর ছেলে মনির হোসেন। আর যাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, তিনি মিলন মিয়া (২৫), ফুলবাড়ীর আজোয়াটারি গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে।
নাগেশ্বরী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব কুমার জানান, শনিবার (১৪ জুন) রাতে মনির হোসেন পুলিশকে ফোনে জানান, এগারো মাথা বাজার এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের সিটের নিচে ইয়াবা রাখা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেলটি জব্দ করে এবং সিট খুলে ৬৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। মালিক মিলন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
এতে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে মনিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, পুরো পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তার বন্ধু জুয়েল। এরপর জুয়েলকেও গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে জানায়, প্রেমঘটিত একটি বিষয়ে মিলন তার পরিবারকে জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে এ ফাঁদ পাতে সে।
জুয়েল পুলিশকে জানায়, দুই দিন আগে কৌশলে মিলনের মোটরসাইকেল নিয়ে সিটের নিচে ইয়াবা রাখে এবং পরে মনিরের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেয়।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধুর পরিকল্পিত প্রতারণা থেকে মুক্তি পেয়ে মিলন মিয়া বলেন, “পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তে আমি রক্ষা পেয়েছি। জুয়েলের পরিবারের ভালোর কথা ভেবে কিছু তথ্য দিয়েছিলাম, আর সেটাই কাল হলো।”