কবিতা
“চাঁদাবাজদের হাতে সোহাগ”
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ফারুকী
শহরের মাঝে, হাহাকারের রাত,
মিটফোর্ডে থেমে যায় এক জীবন-পাত।
ভাঙারীর মালা কাঁধে নিয়ে,
ঘর ফেরার পথে, নিঃশব্দ পায়ে।
সোহাগ ছিল সৎ এক মানুষ,
না ছিল দল, না ছিল ক্ষমতার রঙিন আভাস।
কিন্তু এই শহর চায় চাঁদার খাতা,
না দিলে — পড়ে লাশে অমানবতা।
চাঁদাবাজেরা ঘিরে ধরে তাকে,
নিরীহ মুখ, তবুও পড়ে হিংস্র জালে।
“চাঁদা দে!” — না বলার অপরাধে,
পাথর ওঠে, গলা ভাঙে, মৃত্যু সাদায়।
পড়ে থাকে সে রক্তাক্ত রাস্তায়,
মানুষ হাঁটে, কেউ থামে না পাশে।
ক্যামেরায় ধরা পড়ে নির্মম দৃশ্য,
কিন্তু বিচার? শুধু সময় নষ্ট।
মা তার ছেলেকে খুঁজে ফেরে,
মাটির নিচে খাটিয়া সেজে।
একটা ছবি, একটা খবর —
চাঁদাবাজেরা আজও শহরের ওপর।
সোহাগ নেই, তবু প্রশ্ন জেগে রয়,
এই শহরে কি ন্যায় কখনো হয়?
চাঁদাবাজের হাতে যদি মরে সত্য,
তবে বেঁচে থাকা শুধুই ভাগ্যব্যত্য।