দামুড়হুদার গোপালপুরের ধান কাটা মেশিনের মধ্যে থেকে অজগর সাপ উদ্ধার – দৈনিক নতুন কলম

দামুড়হুদার গোপালপুরের ধান কাটা মেশিনের মধ্যে থেকে অজগর সাপ উদ্ধার

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: আগস্ট ২৯, ২০২৫

মোঃ মিনারুল ইসলাম

চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো উদ্ধার হয়েছে অজগর সাপ!
চুুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার উপজেলার গোপালপুর মাঠে ধান কাটা মেশিনের মধ্যে থেকে বের করা হয়েছে একটি অজগর সাপ।

গোপালপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটার সময় নিচে আটকে যায় সাপটি। প্রায় ১০ ফুট লম্বা অজগরটি উদ্ধার করে গ্রামবাসী। সাপটির আনুমানিক ওজন ১৫ কেজি বলে জানাগেছে।

আজ শুক্রবার (২৯ আগস্ট ) সকালে দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর মাঠে ধান কাটা মেশিনের মধৌ থেকে অজগর সাপটি উদ্ধার করা হয়।

পরে স্থানীয় যুবকরা মিলে সাপটিকে খাঁচায় বন্দি করে সাপটি নিজ গ্রামের ভিতর নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, মেশিনের ভিতর বিশাল আকৃতির অজগরটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে এক যুবক সাহসিকতার সঙ্গে সেটি ধরে ফেলেন। অনেকে তাকে সাপটি বিক্রি করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

অজগরটি প্রায় ১০ ফুট লম্বা। সম্ভবত চুুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর সীমান্ত এলাকায় পাচার চক্রের কাছ থেকে পড়ে যাই অজগর সাপটি সেটিই ভেসে এখানে এসেছে। কেউ কেউ বলছে সাপটি আবার বন-জঙ্গলে অবমুক্ত করা হোক।

 

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে হর হামেশাই দেশী জাতের এই অজগরের দেখা মেলে যার আসল নাম Indian rock python, কিন্তু চুয়াডাঙ্গাতে অজগর এলো কোত্থেকে

পরিবেশবাদী সংগঠন পানকৌড়ির প্রতিষ্ঠাতা স্নেহভাজন বখতিয়ার হামিদ বিপুলের সাথে কথা বলে জানা যায় অতিবৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়েছে। ভেসে আসতে পারে।
আমি মনে করিয়ে দিলাম গত বছর মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তের বিভিন্ন স্থান থেকে গত তিন চার বছরে ম্যাকাও, ক্যাপা স্টার্লিং, আফ্রিকান ওপেন বিল পাখি ভারতে পাচারের সময় উদ্ধার হয়নি? কয়েকদিন আগে উদ্ধার করা হলো আফ্রিকান সার্ভাল ক্যাট।

চুয়াডাঙ্গা – মেহেরপুরের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অন্তত ১০/১২ বছর যাবত বন্যপ্রাণী পাচার হচ্ছে। হতেও তো পারে এই অজগরটিও ওদের হাত থেকে কোনোভাবে ছেড়ে গিয়েছে? বিপুল ও আমার সাথে একমত হলো। এর আগে সম্ভবত ২০১৪ সালে বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের একটা বড় চালান আনন্দবাস সীমান্ত থেকে আটক হয়।

ম্যাকাও পাখিসহ কয়েক ধরনের জন্তু জানোয়ার ছিল সেই জব্দ তালিকায়। গত কয়েক বছরের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে এতটুকু বলা যায়, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সীমান্ত বন্যপ্রাণী পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

এ কাজের সাথে জড়িতরা খুবই ধূর্ত, সবদিক থেকে এদের যোগাযোগ আছে। এরা যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ চালায়।