
আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:-
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পূর্ব রাজাপুর (তুলাতলা) এলাকায় তিন মাস দশ দিন বয়সের এক বাছুরকে বলৎকারের ঘটনা ঘটেছে।
এতে বাছুরের মালিক মনিরা ইয়ামিন থানায় অজ্ঞাতনামা বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই গত ৯ সেপ্টেম্বর-২০২৫ ইং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনিরা গোয়ালঘরে দুইটি গরু বেঁধে রাখে। পরবর্তীতে রাত অনুমানিক নয়টার দিকে গরু গুলো ঠিক আছে কিনা তাদেখতে ও তালা দিতে গোয়ালঘরে যায়। কিন্তু গিয়ে দেখে ছোট বাছুরটি গোয়ালঘরে নেই। পরে তার খালাতো বোন ও নিজে মিলে ছোট বাছুরটি খোজাখুজি করে বাড়ির দক্ষিন পার্শ্বে নদীর পাড়ে অচেতন অবস্থায় দেখিতে পায়। বাছুরের অবস্থা ও পাশে থাকা আলামত দেখে মনে হয় কে বা কারা যেন বলৎকার করে ফেলে রেখে গেছে। বাছুরের পাশে সদ্য ব্যবহৃত একটি কনডম ও একটি কনডমের প্যাকেট পরে আছে। বাছুরটি হাটতে পারছে না উঠে দাড়াতে পারছে না। পরে আমরা ধরে বাছুরটিকে গোয়ালা ঘরে নিয়ে আসি।
বাছুর মালিক মনিরা জানান , আমি বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমানোর আগে গোয়ালঘরে তালা দিতে গিয়ে দেখি গোয়ালে বাছুর টি নেই। পরে আমি ও আমার খালাতো বোন মিলে খোজাখুজি করে নদীর ধারে ঐ অবস্থায় পরে থাকতে দেখি। এ অবস্থায় আমি প্রানী সম্পদ স্যারকে বিষয়টি জানাই ও ছবি পাঠাই। তারপর স্যার আমাকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এগুলো এলাকার কিছু মাদকাসক্ত ছেলেপেলের কাজ বলে আমার সন্দেহ হয়। বর্তমানে আমি তাদের ভয়ে নিজ বসতবাড়ির গৃহ ও আমার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া বাসায় থাকছি।
এছাড়াও ঘটনার পরেরদিন থেকে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগেতেছি। বর্তমানে উক্ত বাছুরটি উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের অধিনে চিকিৎসা চলিতেছে, তবে অবস্থা ভালো না। এই গরু পালনকারী মনিরা ইয়াসমিন একজন দক্ষ কৃষাণী ও আত্মকর্মী। গবাদি পশু পালন ও কৃষি কাজ করাই তার পেশা ও নেশা। মনিরার গর্ভধারণী মা অনেক বছর পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছেন! বাবা আঃ মতিন মায়ের মৃত্যুর আগে থেকেই মানুষিক প্রতিবন্ধী! কোন ভাই নেই মনিরা ইয়াসমিনের। শুধুমাত্র দুই বোন। ছোটো বোন ও অসুস্থ বাবার লালনপালন, ভরনপোষণ ও নিজের পড়াশোনার খরচ মেটাতে কর্ম হিসবে বেছে নিয়েছে কৃষি পন্য উৎপাদন, গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি পালন। বর্তমানে মনিরা উচ্চমাধ্যমিক পাস করে স্নাতক ডিগ্রীতে অধ্যায়নরত।
এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় কিছু অসাধু কুচক্রী মহল অসহায় পরিবারটিকে বারবার ক্ষতিসাধন করে যাচ্ছে। মনিরা ইয়াসমিনের কোনো জনবল নাথাকায় এবিষয়ে সহ যেকোনো বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের সহায়তা কামনা করছেন মনিরা সহ এলাকাবাসী।
এ বিষয় রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।