রৌমারী , কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বাড়ির আঙিনা ও অনাবাদি পতিত জমি এখন সবুজে ঘেরা পুষ্টিবাগানে রূপ নিচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ‘পারিবারিক পুষ্টিবাগান’ প্রকল্পের আওতায় কৃষক পরিবারগুলো এসব জমিতে সবজি ও ফলমূলের চাষ করে স্বনির্ভরতার পথে হাঁটছে।
চলতি খরিপ মৌসুমে উপজেলার ১৮৫টি পরিবারকে বিনামূল্যে সবজি বীজ, ফলের চারা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে কৃষি অফিস। ফলে কৃষকরা বাড়ির ফাঁকা জায়গায় চাষ করে নিজেরাই শাকসবজির চাহিদা মেটাচ্ছে। অতিরিক্ত উৎপাদন স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আয়ও করছেন তারা।
মির্জাপাড়া গ্রামের সুমি আক্তার বলেন, “বাড়ির পাশে ছোট একটা পতিত জায়গা ছিল। সেখানে পুষ্টিবাগান করে ৯-১০ রকম সবজি চাষ করেছি। নিজেই যত্ন নিই, বাজার থেকে কিছুই কিনতে হয় না।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী জানান, “প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি নারীরাও এসব কাজে যুক্ত হয়ে ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন।”
এ প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু পুষ্টির ঘাটতি মেটানো নয়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহারও কমে আসছে। কৃষকরা শিখছেন জৈব সার ব্যবহার, যা মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মামুনুর রহমান সরেজমিন পরিদর্শনে এসে প্রকল্পের সফলতা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রৌমারীর গ্রামীণ জনপদে গড়ে ওঠা এই পুষ্টিবাগানগুলো এখন শুধু সবজির ক্ষেত নয়, বরং একটি টেকসই কৃষি ও পুষ্টির আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠছে।