1. admin@notunkalom.com : 7mbot :
  2. mfaruqi805@gmail.com : দৈনিক নতুন কলম : দৈনিক নতুন কলম
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
সোহাগ হত্যাকাণ্ড ও দেশজুড়ে সহিংসতার প্রতিবাদে রৌমারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চাঁদপুরে হামলার শিকার মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমাম নুরুল আমিন মাদানী ইন্তেকাল করেছেন পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে লাশের ওপর লাফানোর বিভৎসতা নীরব শক্তি—বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের পুনরাবির্ভাব চর রাজিবপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রৌমারীতে মাদক প্রতিরোধ কমিটি গঠিত: সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রংপুরে ৩৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত রৌমারীতে রিকশা-ভ্যান ও অটোরিকশা চালক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন উজান ঝগড়ার চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক আবুল কাশেমকে বিদায়ী সংবর্ধনা নদী ভাঙনের মানুষ: এক অন্তহীন ট্রাজেডি

রৌমারীতে মাদকের অভয়ারণ্য: সীমান্তে অনিয়ন্ত্রিত চোরাচালান, প্রশাসন নির্বিকার

দৈনিক নতুন কলম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৪৯ দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রৌমারী-কুড়িগ্রামঃ

কুড়িগ্রাম জেলার দুই সীমান্তবর্তী উপজেলা রৌমারী ও রাজিবপুর যেন ক্রমেই পরিণত হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের এক অভয়ারণ্যে। ভৌগোলিকভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এই দুই উপজেলায় সীমান্তের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরি, দক্ষিণ সালমারা ও মানকাচর জেলার বিস্তৃত চরাঞ্চল। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো যেমন—কুকুরমারা, বোলবোলারচর, মুর্শিদাবাদ পাড়া, ও শিংগিমারী, অন্যদিকে বাংলাদেশের অংশে সাট কড়াই বাড়ি, ধর্মপুর, কাউয়ার চর, চরবোয়ালমারী, গয়টাপাড়া, ও বেহুলারচর—এইসব এলাকা দিয়ে অনায়াসে প্রবেশ করছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ, এমনকি চোরাই গরু ও অন্যান্য দ্রব্য।

সীমান্তের নদীভিত্তিক চরাঞ্চলগুলোর অবস্থান এমন যে, নৌপথে কিংবা হাঁটাপথেই সহজে ভারত থেকে মাদক প্রবেশ করানো সম্ভব।

রৌমারী উপজেলা সদরের বাজারের চা স্টল এখন ইয়াবার খুচরা বিক্রির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।এমনকি আযাদ নামের এক কারবারীকে গ্রেফতারও করেছে রৌমারী থানা পুলিশ। মাঝে মাঝেই অভিযান চলে, কিছু কারবারি ধরা পড়ে, কিন্তু মূল হোতারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সম্প্রতি উপজেলা হাসপাতাল গেট থেকে ১৩ কেজি গাঁজাসহ ২জনকে আটক হয়। আরেক ঘটনায় রৌমারীর একটি বাড়ির গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় দেশি চোলাই মদের গ্যালন। স্থানীয় সূত্র বলছে, “মাঝে মাঝেই গ্রেফতার হচ্ছে , আবার জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজে নামছে।” ফলে প্রশ্ন উঠেছে আইন প্রয়োগের ধারাবাহিকতা ও কার্যকারিতা নিয়েও।

রৌমারী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ লুৎফর রহমান  জানান, “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু ভৌগোলিক বৈচিত্র্য ও সীমান্তজুড়ে পর্যাপ্ত নজরদারির ঘাটতির কারণে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।”

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে বিপুল পরিমাণ ‘অরক্ষিত চরাঞ্চল ও গোপন নদীপথ’ এখনও নজরদারির বাইরে।

চরাঞ্চলের অনেক যুবকই বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের অভাবে মাদকের জালে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় সমাজকর্মী সিরাজুল ইসলাম জানান, “অর্থের লোভ আর কিছুমাত্র বাধা না থাকায় অনেকেই জড়িয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার পরিবারসহ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।”

অভিযোগ রয়েছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী রাজনৈতিক পরিচয়ে কিংবা প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থেকে বারবার রক্ষা পাচ্ছে। ফলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও আদালত থেকে সহজেই জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠছে তারা।

রৌমারী-রাজিবপুরের এই চিত্র শুধু স্থানীয় নয়, বরং দেশের মাদক প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে পরিণত হয়েছে। সীমান্তরক্ষা, আইনের প্রয়োগ, প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে সচেতন নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ না থাকলে এই এলাকার ভবিষ্যৎ আরও ভয়াবহ হতে পারে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, সীমান্তে বিজিবি ও পুলিশের সমন্বিত অভিযান বৃদ্ধি, চিহ্নিত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং চরাঞ্চলের তরুণদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।

অনুগ্রহ করে খবরটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
 © দৈনিক নতুন কলম স্বত্বাধিকারী সংরক্ষিত।
Theme Customized BY LatestNews