রচনায় মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ফারুকী
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মিটফোর্ড হাসপাতালের পাশের সড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর দিয়ে সোহাগকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র হাত তিনেক দূরে ছিলো নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ আনসার ক্যাম্প।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, ঘটনার সময় ক্যাম্পের আনসার সদস্যরা ছিলেন কাঠের চশমা পরে। তাই হয়তো তারা কিছুই দেখতে পাননি, বা দেখতে পাননি বলেই দেখতে পাননি—এমন ভাবেই ভাবছে সচেতন ছাত্রসমাজ।
এই নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকায় অভিনীত আনসার সদস্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে, শিক্ষার্থীরা এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে—“শাড়ি চুরি উপহার”।
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন!
শিক্ষার্থীরা বলছে, যেহেতু ক্যাম্পের ভাইয়েরা চশমা পড়েও কিছু দেখতে পান না, তাই চোখ থাকতেও না-দেখার প্রতিভা যারা দেখিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই দেশের রত্ন।
তাদের জন্য তাই শাড়ি চুরি উপহার দেওয়া হচ্ছে—
যাতে প্রয়োজনে তাঁরা এই চুরিটা মাথায় দিয়ে আরাম করে বিশ্রাম নিতে পারেন।
নাহলে যদি আবার কোনদিন সামনে কাউকে মারতে দেখে ফেলেন—ভুল করে ফেলতে পারেন তো!
অনেকে বলছেন, এই উপহার এক ধরনের তীব্র কটাক্ষ—
আনসার ক্যাম্পের সামনে প্রকাশ্যে মানুষ খুন হয়, আর ক্যাম্পের সদস্যরা বসে থাকেন যেন তারা Netflix–এ ‘সোহাগের শেষ পর্ব’ লাইভ দেখছেন—তাও চশমা খুলে নয়, বরং 3D কাঠের চশমায়।
সোহাগের জন্য শোকের পাশাপাশি, এই ব্যঙ্গাত্মক উপহারে ফুটে উঠেছে এক অসহায় প্রতিবাদের ভাষা—যা চোখে না-দেখার দায়ে থাকা সব “দায়িত্বপ্রাপ্ত দর্শকদের” জন্য এক নিঃশব্দ ঘুষি।